৫ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিতে পারে নাজমুলের চোখের আলো
1 min readদারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে ঠাঁই হয়েছিল এতিমখানায়। ২০১৩ সালে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর এতিমখানা থেকে দাখিল পাস করেন। তারপর বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ (র.) কামিল মাদরাসায় ভর্তি। লজিং থেকে আলীম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন।
পরে ঝিনাইদহ শহরের এক ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তায় ২০১৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন। সব সফলতা ও কষ্টকে হার মানিয়ে দিল চোখের দৃষ্টিশক্তি। নিজের জীবনের চরম বাস্তবতার কথাগুলো বলছিলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নবদুর্গাপুর গ্রামের কৃষক ইছাহাক আলী মন্ডলের ছেলে নাজমুল হক।
তিনি আরো জানায়, তার ডান চোখের রোটিনা ও জেলি নষ্ট হয়ে গেছে। জরুরিভাবে চিকিৎসা করতে না পারলে তার দুই চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকা।
কথা প্রসঙ্গে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলামের সহায়তায় ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে দেখান। সেখানে ডা. মেরি গ্রেস তার চোখ পরীক্ষা করে জানান, ডান চোখের জেলি ও রেটিনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নাজমুলের বন্ধু ইবি ছাত্র সাজ্জাদুল হক রকি জানান, চিকিৎসকরা তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
নাজমুল ঝিনাইদহ শহরের হামদহ সাধুপতিরাম স্কুলের পাশে একটি জামে মসজিদে ১৫০০ টাকা বেতনে মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত আছেন। তার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
নাজমুলকে সাহায্য করতে ইসলামী ব্যাংক, ঝিনাইদহ শাখা,
একাউন্ট নং এসএমএসএ-১৫৩৩ এবং
০১৯৪৭-১৭৩৬৮৫ বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন।