আমি এখন আর নিজেকে প্রতিবন্ধী মনে করিনা
1 min readএই সফল মানুষটির দেখা মিলবে মহেশপুর উপজেলা আজমপুর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর বাজারে। বাজারে তার একটি ম্যাকানিকের দোকান আছে এবং পাশে একটি মুরগির দোকানও আছে। তার কাজের সহযোগী হচ্ছেন বৃদ্ধ পিতা ও ৩য় পুত্র।
আমি এখন আর নিজেকে প্রতিবন্ধী মনে করিনা জনান আয়ূব হোসেন। এই সফল ব্যাক্তি হচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের রফি উদ্দীন জোয়াদ্দারের ছেলে মোঃ আয়ূব হোসেন।
১২বছর বয়সে বাই সাইকেল থেকে পড়ে মেরুদন্ডে আঘাতে ২টি পাই অচল হয়ে যায়। অভাবের সংসার, পিতা মোঃ রফিউদ্দীন জোয়াদ্দার সাইকেল মেকানিক, মা গৃহীনি, বড় ভাই পিতার কাজের সহোযোগী। অল্পকিছু আয় রোজগার দিয়ে খুড়িয়ে-খুড়িয়ে পিতার নেতৃত্বে চলছিল সংসার। কিছু দিন পর বড়ভাই বিবাহ করে শুরু কওে আলাদা সংসার। এবার পিতার কাজের সহযোগী হয় সে। ধীরে ধীরে পিতা বৃদ্ধ হয়, সংসার ও মেকানিকের দোকানের ভার এসে পড়ে তার উপর।
ঝিনাদহ সদর থানার বড়কামরাকুন্ডু গ্রামের সৈয়দ আলীর কন্যা আঞ্জুয়ারা খাতুনকে জীবন সংগী হিসাবে সাথে নিয়ে জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন তিনি। নিজের চলাচলের জন্য একটি গাড়ি নিজেই তৈরি করেন। দুই পা প্রতিবন্ধী হওয়া সত্তেও নিজের তৈরি গাড়িতে বসে এলকার মানুষের সাইকেল, মোটর সাইকেল, স্ফিরে মেসিন সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংস মেরামত করে। পাশাপাশি মুরগি বিক্রয় করে।
বর্তমানে তার সংসারে ৪পুত্র সন্তান। পিতা-মাতা, স্ত্রী চার পুত্র, এক ভাগ্নে ও ভাগ্নী সহ ১০সদস্য বিশিষ্ঠ সংসার। বড় ছেলেকে মাধ্যমিক পাশ করিয়ে সিঙ্গাপুর এবং মেঝ ছেলেকে ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়িয়ে মালেশিয়ায় পাঠিয়েছে। আর বাকী দুই ছেলে প্রথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা ছাড়ায় তিনি এখন সাবলম্বী।
Amra tar jonno doa kamona kori se jeno aro sabolmbi hoy