অপ্রাপ্ত বয়সের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বাবার আবেদন
1 min readঝিনাইদহের মহেশপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছে এক পিতা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাহাজ্জেল হোসেন ও তার স্ত্রী সোনাভান এ আবেদনটি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি শোনার পর মেয়ের বিয়ে বন্ধ ঘোষনা করেন এবং মেয়েটির লেখাপাড়া চালিয়ে নেবার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ভ্যানচালক বাজাজ্জেল হোসেন নাটিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সাগরিকা খাতুনকে বিয়ে দেবার অনুমতি পাবার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমানের দপ্তরে হাজির হন।
মেয়ের বাবা জানান, একটি ভাল ছেলে পাওয়া গেছে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে আগ্রহী। কিন্তু তাদের মেয়েটি বিয়ে দেওয়ার আবেদন না করে দেন ইপজেলা নির্বাহী অফিসার। একই সময় তিনি মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে সহযোগিতা করা হবে বলেও আশস্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জুলফিকার আলী,মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মহেশপুর উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করা হয়েছে। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান ভারতীয় সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় বাল্য বিয়ে বন্ধে কাজ করছেন। যেখান থেকেই বাল্য বিবাহের খবর তিনি পান সেখানে নিয়ে বিবাহ বন্ধ করেন।
এছাড়া বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের জেল-জরিমান করছেন। সেই ভয়েই মঙ্গলবার বাহাজ্জেল হোসেন মেয়েকে বিবাহ দেবার অনুমতি নিতে আসেন।
তারেক মাহমুদ