“হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুল ছাত্রী ”
1 min readদুই ভাগনির বিয়ে হয়েছিল অল্প বয়সে। বেশি দিন টেকেনি তাদের সংসার। প্রতিদিনই খবর পাওয়া যায় কোথাও না কোথায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে। বাল্য বিবাহ মানেই একটি মেয়ের জীবন নষ্ট করা। হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুল ছাত্রী এই শ্লোগান নিয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও এর কুফল সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতামুলক প্রচার চালাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন তালুকদার (৫০) নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি বগুড়ার বারবাকপুর গ্রামে।
সাইকেলে চেপে লাল রঙের পোশাক, প্যান্ট, গেঞ্জি, টুপি, চশমা, জুতা ও লাল রঙের মাইক ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রীদের মাঝে বাল্যবিহাহের কুফল নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন আনোয়ার হোসেন। ইতিমধ্যে ৬৭ দিনে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রচার শেষে তিনি এবার নেমেছেন দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রচারের কাজে।
বল্যবিবাহ রোধে বাই সাইকেলে দেশ ঘুরে আনোয়ার হোসেনের জনসচেতন মূলক প্রচারণা কাজ করেছেন ঝিনাইদহে আজ বৃহস্পতি বার দুপুর ১২টার সমায় সরকারি উজিরআলী স্কুল এন্ড কলেজে তিনি ছাত্রীদের মাঝে বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করেন। এই সমাজ সচেতন মানুষ আনোয়ার হোসেন জানান, লাল রঙ বিপদ সংকেত। তাই আমার সবকিছু লাল রঙের ব্যবহার করে মানুষকে সচেতন করছি।সকলকে বোঝাতে চাচ্ছি বাল্য বিবাহ বিপদজনক। আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, গত ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারী তিনি সিদ্ধান্ত নেন সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় গিয়ে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীদের জানাবেন, বোঝাবেন।
ইতিমধ্যে ৬৭দিনে ৬৪ জেলা তিনি বাইসাইকেলে চেপেই ঘুরেছেন এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ে লিফলেট বিতরন করেছেন। এবার তিনি শুরু করেছে প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে এ প্রচারণা করবেন। ইতিমধ্যে ৯টি জেলা বগুড়ার ১১টি, নওগার ১১টি, বগুড়ার ১২টি, নাটোরের ৭টি, সিরাজগঞ্জের ৯টি, পাবনার ৬টি, মেহেরপুরের ৪টি,কুষ্টিয়ার ৬টি, চুয়াঙ্গার ৪টি ও ঝিনাইদহের ৪টি উপজেলায় প্রচারাণা সম্পুন্য করেছেন। আনোয়ার হোসেন স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ একদিন বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে। তার এই স্বপ্নের সাথে ঝিনাইদহবাসীও স্বপ্ন দেখছেন ঝিনাইদহ সহ গোটা দেশ একদিন বাল্য বিবাহ মুক্ত হবে।