Sun. Dec 22nd, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আর অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে

1 min read

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আর অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আর অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে
 শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আর অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে

ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ শিক্ষার্থীদের কাজে লাগছে না। কম্পিউটারে দক্ষ শিক্ষকের অভাব আর প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোকে দুষলেন শিক্ষকরা। এদিকে প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ল্যাপটপগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আর অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে।

ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক স্কুলের কম্পিউটার। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তৃণমুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কম্পিটারে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ঝিনাইদহের ৬ টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছিল ল্যাব, কম্পিউটার, ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর। এসব কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দানে ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ল্যাপটপ গুলো কোন কোন শিক্ষক বাড়িতে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। সরকারের নির্দেশ আছে মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা দান করার কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে সাধারণ ভাবে পাঠদান করাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুলে যে কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো সচল আছে সেগুলো শিক্ষকরা অধিকাংশ সময় ব্যবহার করেন। আমাদের কোন কাজে লাগে না।

কম্পিউটার না থাকার কারণে সমস্যা হয়, কোন কোন শিক্ষার্থী ভালোমত শিখতে পারে না। শহরের কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এক ছাত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে যে ল্যাব ছিল তা অচল। আইসিটি ক্লাস করি শুধুমাত্র বই পড়ে। কম্পিউটার না থাকায় সেগুলো মুখস্থ করতে হচ্ছে। সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর চুরি হয়ে গেছে। যেকারণে সেখানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যে ল্যাব দেওয়া হয়েছিল তার বেশ কয়েকটি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম বলেন, যে ল্যাব দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে কয়েকটি নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকটি সচল আছে তা অফিসের কাজ আর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। শহরের কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, তার প্রতিষ্ঠানে যে ল্যাব দেওয়া হয়েছিল তা ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। কম্পিউটার গুলো যা মেরামতের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোন সমাধান পাওয়া যায় নি।

সদর উপজেলার মাওলানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষকরা ব্লাক বোর্ডের মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ল্যাপটপটি রয়েছে প্রধান শিক্ষকের টেবিলে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক আমানত হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে কক্ষ গুলো রয়েছে তা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার উপযোগী না। মাঝে মধ্যে দু’একটি ক্লাস নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মফিজুর রহমান আকাশ বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শণ করে বুঝতে পেরেছি প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া কম হচ্ছে। এর কারণ শিক্ষকদের অজ্ঞতা আর প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো সমস্যা বলে মনে করেন তিনি। জেলা শিক্ষা অফিসার মো: মোকছেদুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা শিক্ষা অফিস। য

দি কেউ যদি কম্পিউটারগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগুলোতে সরকার থেকে ৪ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ, কম্পিটার ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। জেলার ৬ টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪’শ ৭৭ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *