Sat. Dec 21st, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

বেঞ্চ নিয়ে গেছে পুলিশ, স্কুল বন্ধ

1 min read
ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে একশ জোড়া বেঞ্চ নিয়ে গেছে জেলা পুলিশ। কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বেঞ্চ নিয়ে যাওয়ায় দুইদিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তা- সবাই বলছেন, একটি বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ না নিয়ে কয়েকটি বিদ্যালয় থেকে নিলে এমন ক্ষতি হতো না।

বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে দেখতে পায় শ্রেণীকক্ষে বেঞ্চ নেই। এ সময় শিক্ষকরা তাদের জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এই দুই দিন ক্লাস হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র এইচএসএস সড়কে অবস্থিত ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ৬শ শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ বিদ্যালয় থেকে নিজেদের প্রয়োজনে একশজোড়া বেঞ্চ নিয়ে যায় জেলা পুলিশ।

নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলে, ‘স্কুলে এসে জানতে পারি ক্লাস হবে না। নানা কারণে প্রায়ই ক্লাস বন্ধ থাকে। এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে ভর্তি, বই বিতরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কারণে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ক্লাস শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় দুইদিন ক্লাস বন্ধ থাকায় ছাত্রদের পড়ালেখার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় অনেক সময় আমাদের বিবিন্ন চাপই সহ্য করতে হয়। সরকারি দিবস পালনে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের।’

ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসকের মৌখিক নির্দেশে বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ দেয়া হয়েছে। সব বেঞ্চ দেয়ার কারণে বিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া যাচ্ছে না।

ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার গোপীনাথ কাঞ্জিলাল জানান, বুধবার ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন মাঠে কনস্টেবল পদে বাছাই শেষে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। সরকারি প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ আনা হয়েছে।

তবে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, ওয়াজির আলী বিদ্যালয় থেকে সব বেঞ্চ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এটি আমার জানা নেই। শিক্ষা অফিসের অনুমতি বাদেই বেঞ্চ দেয়া হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, দুইদিন ক্লাস বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের মনের ওপর প্রভাব পড়বে। কয়েকটি বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ নিলে ভালো হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *