ঝিনাইদহে শৈলকুপাইদুই গ্রুপে সংঘর্ষে মামলা, গ্রেপ্তার ৫
1 min readঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভার কাউন্সিলর রাকিবসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পর শহর জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। ৪০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শৈলকুপা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের আদর্শ উত্তরপাড়ায় শিশুদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে শৈলকূপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আজম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেজা মন্নুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শৈলকুপা শহরের হাজি মার্কেট মোড়ে বসে থাকা মন্নু গ্রুপের দুই নেতা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের ওপর মেয়র আজম গ্রুপের লোকজন হামলা করে। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তারা গুরুতর আহত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু করে। এরপর পৌর এলাকায় উভয় গ্রুপের সমর্থকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল কালামকে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর রাতে ৪০ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।সংঘর্ষের পর পৌর মেয়র আজম ও প্রতিপক্ষ তৈয়বের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যক ঢাল, সড়কি ভেলা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শৈলকুপা শহরের সকল দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আবারো সংঘর্ষ এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।