ঝিনাইদহ শৈলকুপা-গোয়ালপাড়া সড়কে পিচঢালা রাস্তার চেহারা লাল
1 min readপিচঢালাই ও পাথর উঠে গেছে; জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। গোটা সড়কটি এখন কালোর বদলে লাল চেহারা নিয়েছে। ইটের খোয়া গুঁড়া হয়ে লাল ধুলায় এলাকা একাকার।এই অবস্থা ঝিনাইদহের শৈলকুপা-গোয়ালপাড়া বাজার সড়কের প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকার। সড়কটির দুপাশে প্রায় ৩০টি গ্রামে মানুষের বাস।
ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের গোয়ালপাড়া বাজার থেকে উত্তরে একটি সড়ক চলে গেছে। শৈলকুপা উপজেলা শহর পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার। ওই ৩০টি গ্রামসহ আশপাশের অনেকগুলো গ্রামের মানুষের ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এর মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমপুর, পূর্ব নারায়ণপুর, রাজধরপুর, বাজিতপুর, ফটিকখালী, বিজয়পুর, দুর্গাপুর,, বাকড়ি, পানামী, আর্যনারায়ণপুর, পরানপুর, শিতারামপুর,হরিশংকরপুর, শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা, শেখরা, বাগুটিয়া, বিসমিল্লাহনগর, শাহাবাসপুর, গোপালপুর ও নিত্যানন্দপুর। এসব গ্রামের মানুষের চলাচল ছাড়াও সব ধরনের পণ্য পরিবহন হয় সড়কটি দিয়ে। আগে সব ধরনের ভারী যানবাহন চলত সড়কটিতে। এখন ভ্যান-রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো যান চলাচল করতে পারছে না।
ঝিনাইদহ শৈলকুপা-গোয়ালপাড়া সড়কটি যে আগে পিচঢালা ছিল, তা এখন বোঝার উপায় নেই। সড়কটি বর্তমানে ইটের ধুলায় লাল হয়ে আছে। কিছু জায়গায় ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ সব যান চলছে হেলেদুলে।ভ্যান চালক আনন্দ বিশ্বাস বললেন, এখন ভারী কোনো যানবাহন এই সড়কে চলে না। ফলে পণ্য পরিবহনে তাঁরাই লোকজনের ভরসা। কিন্তু ভ্যান চালানো খুবই কষ্ট হয়ে যায়। প্যাডেল ঘোরানোর সুযোগ থাকে না। পেছন থেকে কেউ ধাক্কা দিলেই কেবল তিনি টেনে ভ্যানটা গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারেন।ইজিবাইকের চালক বিল্লাল হোসেন আগে গোয়ালপাড়া থেকে বাকড়ি বাজার পর্যন্ত ভাড়ায় চলতেন। কিন্তু বর্তমানে ওই সড়কে যেতেই পারেন না। তিনিসহ অনেকেই এখন ঝিনাইদহ শহরে এসে ভাড়ায় খাটছেন।এলাকাবাসী বলছেন, সড়কটি সর্বশেষ প্রায় ১৫ বছর আগে সংস্কারের মুখ দেখেছে। তা ছাড়া অত্যন্ত ব্যস্ত সড়ক হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহন চলে। এ কারণে দ্রুত পিচঢালাই নষ্ট হয়ে যায়। সড়কের পাশের গ্রামেরবাসিন্দা নূর আমিন মিয়া বলেন, এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এ জন্য তাঁরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট সপ্তরে যোগাযোগও করেছেন, কিন্তু কোনো ফল পাননি।সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলি অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন। এলজিইডির ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকৌশলী ভাস্কর মৃদা বলেন, সড়কটির অবস্থা খারাপ, এটা তাঁরা দেখেছেন। পর্যায়ক্রমে সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। আগামী অর্থবছরে সড়কটি সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।