বাংলাদেশে দুর্বল হয়ে ঢুকবে ‘ফণি’
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক:
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ প্রায় অর্ধেক গতিবেগ নিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে বেগে আঘাত হানে ফণি। সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত আর ধ্বংসাত্মক ঝড় নিয়ে ফণি আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮০-১৯০ কিলোমিটার যা ২০০-২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ভূমি অতিক্রমে প্রায় ২ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ সময় নেবে ফণি। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় ভূমিতে ওঠে আসলে এটা দুর্বল হতে থাকে। তাই আজ সন্ধ্যার দিকে ফণি বাংলাদেশে ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে প্রবেশ করবে। আজ-কাল দুদিন ধরে দেশজুড়ে থাকবে ফণির প্রভাব।
এদিকে, দেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে খুলনা ও বরগুনায় ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতেও সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে নেমেছে বৃষ্টি। একইসঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, ফণি উড়িষ্যা হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাবে। সেখান থেকে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের দিকে আসবে। আজ বিকেলের পর তা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকবে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে সন্ধ্যায়। সারারাত ফণি সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল অঞ্চলের দিক থেকে ফরিদপুর, ঢাকা হয়ে ভারতের মেঘালয়ের দিকে যাবে।
শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যখন ফণী প্রবেশ করবে, তখন এর গতি অর্ধেকে নেমে ৮০-১০০ কিলোমিটার হবে। ফণীর প্রভাবে আজ রাত ও কাল শনিবার সারাদিন বৃষ্টি থাকবে। তিনি জানান, মোংলা, পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রাখা হচ্ছে। আপাতত এর বেশি বাড়ছে না।
তিনি বলেন, উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে। ফণি উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
উপকূলীয় জেলাগুলোতে শুকনা খাবার, ওষুধ, পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব জেলা আক্রান্ত হতে পারে সেসব জেলায় নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকদের ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি প্রত্যেক ডিসিকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেয়া আছে।
এদিকে, ফণির প্রভাবে দেশের কোথাও মেঘাচ্ছন্ন, কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। হালকা থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। বৃষ্টি আরো দু’একদিন চলবে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।