যে পথে বাংলাদেশে আঘাত হানবে ‘ফণি’
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ বর্তমানে ভারতের বিশাখাপত্তম উপকূলের খুব কাছকাছি অবস্থান করছে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে। এর ফলে ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাবে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৫ জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ফণি। এরপর দেশটির পুরিতে আঘাতের পরপরই বাংলাদেশে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে আঘাত হানবে এই ঝড়। আঘাত হানার সময় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র বাতাসের গতিবেগ ৯০-১১০ কিলোমিটার থাকতে পারে। এসময় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে এসব এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর পুনঃ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয় ) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও সাগরে অবস্থারত সকল অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশে প্রবশে করবে ফণি। আঘাত হানার সময় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসসহ ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ।