ঝিনাইদহে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
1 min readঝিনাইদহ নিউজ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বদনপুর গ্রামে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মুছা মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ভিকটিমকে রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুছা মন্ডল বদনপুর গ্রামের আনিচ মন্ডলের ছেলে। তবে পুলিশ বলছে, মুছার সঙ্গে মেয়েটির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তার আগে বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে সংসারও করেছে। জায়গা জমি বা সামাজিক বিরোধ নিয়ে কোনও সমস্যা হতে পারে।
মেয়েটির ভাষ্য, সে কালীচরণপুর স্কুলে পড়ালেখা করে। শনিবার রাত ১০টার দিকে টিউবওয়েলে পানি নিতে গেলে মুছা মন্ডল তাকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। এরপর কি হয়েছে মেয়েটি বলতে পারেনি। সকালে তাদের বাড়ির কাছেই হাত পা বাধা অবস্থায় পড়ে ছিল।
মেয়েটির মা নার্গিস বেগম অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে নির্যাতন করা হলেও স্থানীয় এক মেম্বর তাদের মামলা করতে দিচ্ছে না।
মেয়েটির দুলাভাই আব্দুল আলিম জানান, তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে, মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বদনপুর গ্রামে যাই ঘটুক তদন্ত হওয়া দরকার। মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে কিনা তার তদন্ত চান মানবাধিকার কর্মীরা।
এদিকে মুছার শাশুড়ি নুরী বেগম জানান, তার জামাই অভদ্র ও চরিত্রহীন। তার লাম্পট্যের প্রতিবাদ করে আমার মেয়ে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, পুলিশ বাহিনী এখন অনেক সচেতন। কোনও অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হলে ন্যায় বিচার পাবে।
তিনি বলেন, ঘটনার মধ্যে কোনও সামাজিক বিবাদ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে রবিবার রাতে মেয়েটির বাবা মিজানুর রহমান একটি অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।