ঝিনাইদহে জীবিত নবজাতককে মৃত বলে পরিবারের কোলে দিলো ডাক্তার
1 min readঝিনাইদহ নিউজ: বিকলাঙ্গ এক জীবিত নবজাতককে মৃত বলে ওষুধের কার্টুনে ভরে পরিবারের কোলে তুলে দিলো চিকিৎসকরা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি ডক্টরস প্রাইভেট হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।
মঙ্গলবার প্রসববেদনা নিয়ে ডক্টরস প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী হেপি আক্তার। রাত সাড়ে আটটার দিকে অপারেশনের পর পৃথিবীতে আসে বিকলাঙ্গ শিশুটি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসা না করে কাপড়ে জড়িয়ে ওষুধের কার্টুনে ভরে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
পরিবারের লোকজন নবজাতককে মৃত ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসার পর সে সজোরে কাঁদতে থাকে। এরপর শিশুটি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
নবজাতকের পিতা কাদের বিদেশ থেকে মোবাইল ফোনে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসা না করিয়ে কেন কার্টুনে ভরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। মারা গেলে ক্লিনিকে মারা যেত। আমার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই ডা: কামরুন্নাহারকে দেখিয়েছি। তারা তিন থেকে চারবার আল্টাসনোগ্রাফ করে বুজতে পেরেছে গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ। তারা চিকিৎসা না করতে পারলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলতো। তা না করে কেন অপারেশন করালো? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ডা: আবু বকর সিদ্দিক জানান, শিশুটি এনানসিফেলিতে আক্রান্ত ছিল। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
জীবিত শিশুটিকে কেন কার্টুনে ভরে পরিবারের কাছে দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বলেন, আপনাদেরকে কেন জানাতে হবে সব কথা।