শহরে ২শতাধিক মেস, তথ্য নেই পুলিশের কাছে
1 min read
ঝিনাইদহ যেন ছাত্রাবাসের শহর: সরেজমিনে ঝিনাইদহ জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রমতে জানা গেছে, জেলা শহরে ২শতাধিক ছাত্রাবাস ও মেস আছে। এসব মেসে অবস্থানকারীদের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহ সংলগ্ন ছাত্র শিবির নিয়ন্ত্রিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই ছাত্র শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত, এদের মধ্যে কেউ মসজিদে ঈমামতি, মাদ্রাসায়, কিন্ডারগার্টেনে, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা, টিউশনি সহ নানা দায়িত্বে জড়িত। এসবের পাশাপাশি অনেক ছাত্র, শিক্ষার্থী বাসাভাড়া করে শহরে অবস্থান করছে। কিন্তু কে কি করে তার কোনও হিসাব নেই পুলিশের কাছে। জঙ্গী নিবরাস ইসলাম ও তার সহযোগীরা অবস্থানকারী শহরের ৩নং পানির ট্যাঙ্কি এলাকার সোনালী-খোন্দকার পাড়াতেও ৪/৫ টি মেস রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, দু’এক দিনের মধ্যেই এসব মেস,ছাত্রাবাসের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তাদের হাতে আসবে, পুলিশের পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত,সাম্প্রতি ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গী হামলার ৬ জঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম নিবরাস ইসলাম হামলার আগে গত ৪ মাস ধরে ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করছিল । এ চার মাস ধরে ভয়ঙ্কর জঙ্গী নিবরাস ছোট্ট শহর ঝিনাইদহে কোথায় কি করছিল, কি ছিল তার মিশন? কারা আসা-যাওয়া করত এসব নিয়ে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর কৌতুহল ক্রমেই বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। একয়েক মাসের মধ্যেই ঝিনাইদহে ঘটে যায় পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী হত্যা সহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড। যার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গী সংগঠন। গুলশান হামলার কয়েকদিন আগে ২৮ জুন মেস ছেড়ে চলে যায় আইএস জঙ্গী নিবরাস ইসলাম ও তার সহযোগীরা।