ঝিনাইদহে মহেশপুরে শিলাবৃষ্টিতে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি॥ মরেছে দেশীয় প্রজাতির পাখি
1 min readঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলা বৃষ্টিতে হাজার হাজার একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ২হাজার ৫শ হেক্টর জমির মসুরি, ৭শ হেক্টর জমির গম, ১শ হেক্টর জমির ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমের মুকুল, বাউকুল, লিচুর মুকুল সব ঝরে গেছে। শুধু ফসল নয় প্রাণহানী ঘটেছে দেশীয় প্রজাতির ফিঙ্গে, দোয়েল, শালিক, টিয়ে সহ নাম না জানা হরেক রকম পাখিরও। মহেশপুর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ৪হাজার ১শ ৫০ হেক্টর ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়। এছাড়া ফসল হিসাবে তামাক কে না ধরা হলেও তামাকের ক্ষতির পরিমান কয়েক হাজার হেক্টর। এদিকে কমপক্ষে ৫শতাধিক কাঁচা ও টিনের ঘরবাড়ি ছিদ্র ও বিদ্ধস্ত হয়েছে। হঠাৎ এই শিলা বৃষ্টিতে ধরন্ত ফসল হারিয়ে পথে বসল কৃষক ও প্রান্তিক চাষীরা।
এসবিকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান জানান, রাত ৩টার দিকে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে তার ইউনিয়নে ১০টি গ্রামের মসুড়ি, গম, আমের মুকুলসহ অন্যানো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরপুর গ্রামের কৃষক ইমাদুল জানান, ভোররাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে আমার ঘরের টিনেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে সকালে মাঠে গিয়ে দেখি মসুড়ি ক্ষেত পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। ভালাইপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আব্দুল কাদের জানান, শিলাবৃষ্টিতে আমার ৩ বিঘা জমির তামাক ক্ষেত পুরোটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমাকের পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। যাদবপুর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম, ওসমান আলীর গম ভুটা, মসুড়ির ৯ বিঘা জমির ফসল সব নষ্ট হয়ে গেছে।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা জানান, ভোররাতে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টিতে উপজেলা জুড়েই ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে । মোট ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে নাটিমা, যাদবপুর, মান্দারবাড়ীয়া, স্বরূপপুর, এসবিকে ও পৌর এলাকায় ক্ষতির পরিমান সব চেয়ে বেশি। মাঠকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ক্ষতির পরিমান ও কৃষকদের নাম লিপিবদ্ধের কাজ করে যাচ্ছেন।