Fri. Dec 20th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

আত্মপক্ষ সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমএম জামান মিল্লাত

1 min read
আত্মপক্ষ সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমএম জামান মিল্লাত

আত্মপক্ষ সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমএম জামান মিল্লাত

আত্মপক্ষ সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমএম জামান মিল্লাত
আত্মপক্ষ সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমএম জামান মিল্লাত

আগামী সংসদ নির্বাচনে কোটচাঁদপুর-মহেশপুর আসনের আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাসী এমএম জামান মিল্লাত সোমবার রাতে কোটচাঁদপুর সনি আবাসিক হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করা সহ পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগের সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমএম জামান মিল্লাত।

মিল্লাত সাহেব দাবি করেন, তার সভাসমাবেশে প্রচুর লোক সমাগম হওয়ায় অপর পক্ষ ইর্ষান্নিত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এমন গল্প ফেঁদেছেন দলীয় অপর পক্ষ। এমএম জামান মিল্লাত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঝিনাইদহ জেলার শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।

বিষয়টি নিয়ে সনি আবাসিক হোটেলের মালিক ও আওয়ামীলীগ কর্মি নূরুল ইসলাম খোকন এ প্রতিবেদককে জানান, মিল্লাত সাহেব শহরে একটি মোটরসাইকেল শোডাউন করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার আবাসিক হোটেলের ২৪নং রাত যাপনের জন্য উঠেন। এসময় তিনি আবাসিকের ম্যানেজার ইউনূচ আলীকে ডেকে পানির গ্লাস ছোট কেন বলে গালাগালি করেন এবং তার গালে চড় বসিয়ে দেন। বিষয়টি ম্যানেজার ইউনূচ আলী আবাসিকের মালিক নূরুল ইসলাম খোকনকে জানান। খোকন আবাসিকে যেয়ে তার ম্যানেজারের অপরাধ কি মিল্লাতের কাছে জানতে চান। এসময় মিল্লাত সাহেব ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন তুই কই-ফিয়াত নিতে এসেছিস বলেই তাকেও শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়। খোকন বলেন, এসময় মিল্লাত সাহেব আমাকে বলে শালা তুই আমার প্যানেল বাদ দিয়ে সাবেক এমপি চঞ্চলে’র প্যানেল করিস তোকে গুলি করে আজ মেরেই ফেলবো। এই বলে তার কাছে থাকা লাইন্সেস করা পিস্তল বের করে। এসময় খোকন ভয়ে দরজা খুলে দৌড়ে আবাসিকের ৪র্থ তলা থেকে নিচে নেমে আসে। তারপর তিনি বিষয়টি উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী শাহাজাহান আলীকে জানান। বিষয়টি সাথে সাথে শহরময় চাউর হয়ে পড়ে। সনি আবাসিক হোটেল নূরুল ইসলাম খোকনের নিজের এলাকাতে হওয়ায় এবং সেই সাথে আওয়ামীলীগের একজন কর্মি হওয়াতে এলাকাবাসী ও দলীয় নেতা কর্মিরা মিল্লাতের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এ ঘটনায় রাতেই বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মি ও এলাকাবাসী মিল্লাতকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পাশাপাশি মিলাøাতের সাথে থাকা ৩ ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে। দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুরও করে তারা। আহতরা হলো কামাল হোসেন (২৭), আলামিন (২০) ও আরিফ (৩৫)। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাত ৯টার দিকে ব্যাপক পুলিশসহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন ও থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন এবং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। রাত ১২টার দিকে এমএম জামান মিল্লাতকে কড়া পুলিশ পাহারায় তার পছন্দমত নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয় পুলিশ।

এ ব্যাপারে এমএম জামান মিল্লাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর বাজার যুবলীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার উপর আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথা বানোয়াট। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে ৯৩ সালের আগে কোটচাঁদপুরে চরম ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এ অঞ্চলে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। বর্তমানে ব্যাবসায়ীক কারনে আমাকে ঢাকা থাকতে হয়। ঢাকাতেও আন্দোলনে আমাকে গ্রেফতার ও নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে বহুবার। বর্তমানে কেন্দ্রে কমিটি’র একটি পদে আমি অধিষ্টিত আছি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন কোটচাঁদপুরে আমার যথেষ্ট নেতা কর্মি রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমি প্রায়ই আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য গণসংযোগে নামি। পাশাপাশি জনসভা করে থাকি। আমার গণসংযোগ ও জনসভায় মানুষের ঢল দেখে স্থানীয় অপর পক্ষ গতকাল সনি হোটেলে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালিয়ে দলীও নেতা কর্মিদের মধ্যে বিভেদের ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়ে ছিল। তবে তারা সফল হতে পারিনী। তিনি বলেন আমার লাইন্সেস করা পিস্তল থাকলেও আমি ওটা ঢাকাতে রেখে এসেছি। অথচ আমি নাকি ওই পিস্তল দিয়ে খোকনকে গুলি করতে গেছি। আপনারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন তারা আমার কাছে ওই সময় কোন অস্ত্র পেয়েছেন কিনা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনা নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আমরা এটাকে বেশী দুর এগোতে দেয়নি। তবে তিনি বলেন, অস্ত্র বের করার বিষয়টি সত্য নয়।

এব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শরিফুননেছা মিকি এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি সত্তিই দুঃখজনক। আমাদের সকলের উচিৎ হবে ভবিষ্যতে যেন এধরণের ঘটনার আর জন্ম না হয়।
উপজেলা আওয়ামীগের সেক্রেটারী শাহাজাহান আলী বলেন, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষ আমাদের দ্বারা নিঘৃত হোক এটা আমাদের কাম্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *