এই বুড়ো হাড়ে আর মার সহ্য হয় না’ চার সন্তানের হাতেই মার খেয়েছেন ১০১বছর বয়সী হতভাগা পিতা!
1 min read
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বললেন ‘এই বুড়ো হাড়ে আর মার সহ্য হয় না’ আপনি বলে দেবেন ‘ ওরা যেন আমার আর কিছু না বলে’ ! শৈলকুপায় ৫সন্তানের জনক শতবর্ষী এক হতভাগা পিতা এমন করেই আকুতি জানিয়েছেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। ৫ ছেলের মধ্যে ৪জনের হাতেই তিনি খেয়েছেন মার-ধর, হয়েছেন অমানুষিক নির্যাতনের শিকার। ঝিনাইদহ শৈলকু’পা উপজেলার বিপ্র-বগদিয়া গ্রামের জমির উদ্দিন শেখ । নির্যাতিত এই পিতার অভিযোগ সূত্রে জানান, তার ৫২ বিঘা জমি থাকার পরও ৫ ছেলের মধ্যে ৪ ছেলের হাতেই মার খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বড় ছেলে সাহেব আলী তাকে দুই বার মেরেছে, সেজ ছেলে আইয়ুব আলীও তাকে দুই বার মেরেছে, তৃতীয় পুত্র আলতাফ তাকে মেরেছে ৩ বার আর সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র মশিয়ার তাকে মেরেছে দুই বার। বেশ কিছুদিন ছিলেন মেজ ছেলের সাথে। কিন্তু ছেলের বৌ অভিযোগ তোলে কেউ যখন তাকে খেতে দেয় না তখন আমরাও তাকে খেতে দেব না। এই বলে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
কাঁদতে, কাঁদতে জামিরুদ্দিন শেখ, শুরু করেন জীবণের করুণ কাহীনি। তিনি জানান, তাদের এ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলেন বৃদ্ধাশ্রমে কিন্তু সেখানওে তার ঠাই হয়নি বেশিদিন। সেখানে ছিলেন প্রায় দুই মাস। তার বড় ছেলের মেয়ে ও তার জামাই, সেখান থেকে টেনে-হিচড়ে বের করে নিয়ে এসে আবার বড় ছেলের বাড়ীতে রেখে আসে তারা। এখন কেউ তার সাথে কোন কথা বলে না। আর বিভিন্ন অছিলায় আমার উপর চলে কঠিন শারীরিক নির্যাতন।
শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণি সাংবাদিকদের জানান, মৃত মাদু শেখের ছেলে মোঃ জামিরুদ্দিন শেখ। জন্ম ১০ই অক্টোবর ১৯১৭ সালে ঝিনাইদহের শৈলক’পা উপজেলার বিপ্র-বগদিয়া গ্রামে। ৫ ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জামিরুদ্দিন অভিযোগ এনেছে, অসুস্থতার সুযোগে ৫২ বিঘা সম্পত্তি জোর করে লিখে নিয়েছেন ছেলেরা। আবার শারীরিক নির্যাতনও করছে প্রতিনিয়ত। এরপর নিজের জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন জানান, তার কাছে এসেছিলেন মোঃ জামিরুদ্দিন শেখ। তার করুন কাহিনী শুনে তিনি শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।