কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ
1 min read
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীতশিল্পী এবং বাংলাদেশের গর্ব রুনা লায়লা’র জন্মদিন বৃহস্পতিবার। ছোটবেলায় মা ও বড় বোন দীনা লায়লার সেলাই করা নতুন জামা পড়েই জন্মদিন কাটতো তার।
ঈদের মতো জন্মদিনেও রুনা লায়লা নতুন জামা পেতেন মা এবং বোনের কাছ থেকে। কিন্তু এই সময়ে এসে জন্মদিন এলেই রুনা লায়লা ছোটবেলার সেইসব ফেলে আসা দিনগুলো খুব মিস করেন। ছোটবেলার জন্মদিন প্রসঙ্গ আসলেই একটু অন্যরকম হয়ে যান তিনি।
রুনা লায়লা বলেন, আমার ছোটবেলার সব জন্মদিন ছিলো স্মরণীয়। আমার জন্মদিনে বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব আসতো, কেক কাটা হতো-সবমিলিয়ে খুব আনন্দ হতো। এখনতো আর তা করা হয় না। মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে সুস্থ আছি, ভালো আছি, এখনো ভালোভাবে গান গাইতে পারছি। এখন জন্মদিনে নিজেদের পরিবারের সদস্যরাই নিজেদের মতো উদযাপন করি। বাইরে কোথাও সাধারণত যাই না। তবে আমার জন্মদিন এলেই আমার মা’র কথা খুব মনেপড়ে। কারণ আমার মা’র জন্মদিন ১ ডিসেম্বর। মিসকরি বড় নাতিকেও। কারণ তার জন্মদিন ২৪ নভেম্বর।
গত বছর লন্ডনে বড় নাতির সঙ্গেই তিনি নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। রুনা লায়লা তার আজকের অবস্থানের পেছনে বড় ভূমিকা হিসেবে তার মা-বাবা, বোন দীনা লায়লার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। ভক্তদের ভূমিকার কথাও উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রে গান গেয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭৭ সালে আব্দুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক’র জন্য।
দেবু ভট্টাচার্য্যের সুরে করাচী রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’,‘আমি নদীর মতো কতো পথ পেরিয়ে’ গান তার কণ্ঠে শোনা যায়। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ সিনেমায় সুবল দাসের সুর সঙ্গীতে।