ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া মহাসড়ক ৪৫ কিলোমিটারের অর্ধেকই ভাঙাচোরা
1 min readকুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশে ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙেচুরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অন্তত ২০টি স্থানে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। উঠে গেছে পিচ ও পাথর। যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অন্তত ছয় মাস ধরে সড়কটির এ অবস্থা। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের কষ্টের শেষ নেই।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, ওই ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অংশ ভাঙাচোরা। এসব স্থানে বহু গর্ত তৈরি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সবাইকে আরও কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। তাঁরা আপাতত সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে গর্ত ভরাটের কাজ করছেন। সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো কিছুদিনের মধ্যে ঠিকাদারের মাধ্যমে মেরামত করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
সড়কের ঝিনাইদহ থেকে বারোবাজার পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব বড় গর্তের কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে রাস্তা এতটাই খারাপ যে অনেক যানবাহনের চালক ভাঙাচোরা স্থান এড়িয়ে পাশের মাটির অংশ ব্যবহার করেন। আর মাটির ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করায় আরোহীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
ওই পথে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিনাইদহের লাউদিয়া, তেঁতুলতলা বাজার, বিষয়খালী এলাকা, কয়ারগাছি, বেজপাড়া, বাকুলিয়া, কালীগঞ্জ কলেজ মোড়, বৈশাখী পেট্রলপাম্প এলাকা, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে ও ফুলবাড়ী এলাকায় সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে এ স্থানগুলো ভেঙেচুরে ক্ষতবিক্ষত হয়। মাঝেমধ্যে ইট-বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করা হলেও তা বেশি দিন টেকে না।
ওই পথের বাসচালক নজরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীবোঝাই বাস নিয়ে এই ভাঙাচোরা রাস্তাতেই চলতে হয়। অনেক স্থানে তাঁরা মাটির ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। এতে সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তাঁরা। ট্রাকচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় পণ্য বোঝাই করে ট্রাক চালিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয়; গাড়ি উল্টে যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন।
অটোরিকশাচালক অরুণ কুমার বলেন, ভাঙা রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি যেতে পারলেও ছোট গাড়িগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
এ ব্যাপারে সওজ ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খান বলেন, মহাসড়কের কিছু স্থানে অবস্থা বেশি খারাপ এটা ঠিক। তবে তাঁরা আপাতত চলাচলের উপযোগী রাখার জন্য রাস্তা মেরামত করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ওই ৪৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বানের কাজ চলছে। দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে পারবেন।