দিনটা অজিদের হতে দিলেন না সাকিব
1 min readওয়ার্নার-স্মিথ-লায়নদের হাত থেকে প্রথম দিনটা এক কথায় ছিনিয়ে এনেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি আর বল হাতে নাথান লায়নের উইকেট। দিন শেষে বাংলাদেশ ইনিংসের সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারই।
মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের স্পিনের কাছে পুরোপুরি পরাস্ত অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। ১৮ রান করতেই সাজঘরে ফিরে গেছেন তিন অজি ব্যাটসম্যান। ডেভিড ওয়ার্নারকে (৮) ফিরিয়ে শুরুটা করেন মিরাজ। আর দিনের শেষ আঘাতটা আসে সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। অজি ব্যাটসম্যান নাথান লায়নকে (০) সাজঘরে ফেরান তিনি।
এছাড়া রান আউটে কাটা পড়েন উসমান খাজা (১)। সেটাও সাকিবের ওভারেই। এরপর আর কোনো রান না করেই দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে রয়েছেন স্টিভেন স্মিথ (৩) এবং ম্যাট রেনশ (৬)।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অজিদের বোলিং তোপে ৭৮.৫ ওভারে ২৬০ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ৩০ রানেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যার ৩ উইকেট প্রথম ১০ রানে আর শেষ ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন শেষ ৪ ব্যাটসম্যান।
শুরুতে উইকেটে সেট হওয়ার আগেই আউট হন সৌম্য সরকার (৮), ইমরুল কায়েস (০) ও সাব্বির রহমান (০)। এরপর দলের হাল ধরেন তামিম ইমকাল ও সাকিব আল হাসান।
এ ম্যাচেই নিজেদের ৫০তম টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করেন এ দুই দেশসেরা ক্রিকেটার। আর হাফসেঞ্চুরি করে রেকর্ডের দিনটা রঙিন করেন রাখলেন দুজনই। তামিম ৭১ ও সাকিব ৮৪ রান করেন।
এছাড়া, শেষ দিকে নাসির হোসেনের ২৩, মেহেদী হাসান মিরাজের ১৮ ও শফিউল ইসলামের ১৩ রানে ভর করে ২৬০ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। বাংলাদেশ শেষ ৪ উইকেট হারায় মাত্র ২০ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও অস্টিন অ্যাগার ৩টি করে এবং অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেন একটি উইকেট।
স্কোর:
বাংলাদেশ- ২৬০/১০, ৭৮.৫ ওভার; (সাকিব ৮৪, তামিম ৭১, নাসির ২৩, কামিন্স ৬৩/৩, লায়ন ৭৯/৩, অ্যাগার ৪৬/৩)
অস্ট্রেলিয়া- ১৮/৩, ৯ ওভার; (ওয়ার্নার ৮, রেনশ ৬, মিরাজ ৭/১, সাকিব ৩/১)