পতাকা বৈঠকের আহবান করে বিজিবির জোর প্রতিবাদ
1 min read
ঝিনাইদহের মহেশপুর ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে আলম মিয়া (৩০) নামের এক বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরেই ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সাথে ৬ জুন শনিবার উভয় বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়ে ভারতীয় ৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ ্র গুলিতে আলম নিহত হয়। তাদের গুলিতে আহত হয় আরো দু’জন। নিহত আলম চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ গামার ছেলে। সে বাঘাডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতো। এ সময় আহত হয় বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে সালাউদ্দিন ও রমজান আলী নামের আরো দুইজন।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৩ টার দিকে মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ইছামতি নদী পার হয়ে ভারত থেকে গরু আনতে যায় আলমসহ কয়েকজন। এসময় ভারতের অভ্যন্তরে ৫শ’ গজ ভিতরে প্রবেশ করলে বিএসএফ এর বর্ণবাড়িয়া ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটেলিয়ানের পরিচালক লে. কর্ণেল তাজুল ইসলাম এক মেইল বার্তায় জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টা হতে ৪টার সয়ম ৫৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের বাঘাডাঙ্গা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ আলমসহ আরও ৪/৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ভারত হতে গররু আনার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে মেইন পিলার ৬০/৩৪-৩৫ আর এর নিকট শূন্য রেখা থেকে ৪০০/৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এসময় ভারতীয় ৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ এর বর্ণবাড়ীয়া ক্যাম্পের টহলদল তাদেরকে ধাওয়া করে এবং তাদের লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করে। গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক আলম আহত হয়। তার সহযোগীরা গুলিবিদ্ধ আলমকে নিয়ে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে মারা যায়।
তিনি আরো জানান, ঘটনা জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সাথে আগামিকাল শনিবার পতাকা বৈঠকের আহবান করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।