Fri. Dec 20th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

পাসপোর্ট অফিসে আবার ও তদন্ত

1 min read

পাসপোর্ট অফিসে আবার ও তদন্ত

পাসপোর্ট অফিসে আবার ও তদন্ত
পাসপোর্ট অফিসে আবার ও তদন্ত

ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সাবেক সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে আবারও তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম তদন্ত করেন।

এর আগে গত বছরের গত ২৪ আগষ্ট ডিএডি আব্দুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্য ও উত্যক্তসহ যৌন যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তদন্ত করতে ঝিনাইদহে আসেন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সংস্থাপন) নাসরিন পারভিন নুপুর। তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। সে প্রতিবেদনে উভয়ই ফেঁসে যান।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, চাকুরি বাচাতে উপর মহলে তদ্বির করে আবারও তদন্তের আয়োজন করেন সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার। এ দফার প্রতিবেদসটি পুরোপুরি তার পক্ষে নেওবার জন্য মিমাংসিত বিষয়টি নতুন করে আবারও তদন্ত করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।তদন্ত কর্মকর্তা আবজাউল আলম শুক্রবার জানান, নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের তথ্য উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে। দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বজলুর রশিদের কাছে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, গোপন তদন্তের বিষয়ে আপনারা কিভাবে খবর পেলেন? তিনি সাংবাদিকদের উপদেশ দিয়ে বলেন, আপনারা বাইরে অপেক্ষা করুন, কোন প্রমান থাকলে চেয়ে নেওয়া হবে।

সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগকারী রোখসানা জানান, আমি বিষয়টি ডিজি মহোদয়কে লিখিত জানিয়েছিলাম। প্রথমে একবার তদন্ত হয়েছে। পক্ষপাতিত্ব নয়, আমি ন্যায় বিচার চাই।পাসপোর্ট গ্রহিতাদের কাছ থেকে বেপরোয়া ঘুষ আদায়, মানুষের সাথে চরম দুর্ব্যবহার, দুর্নীতি ও অফিসের নারী কর্মচারী রোখসানাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণে মোতালেব সরকারকে রাঙ্গামাটি পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। সে সময় ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে পদায়ন (চঃ দাঃ) করা হয় রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ডিএডি ফরিদ উদ্দীন আহমেদকে।

কিন্তু ফরিদ উদ্দীনকেও ২/৩ মাস পর বদলি করা হয়। বর্তমান সহকারী পরিচালক হিসেবে বজলুর রশিদকে পদায়ন করা হয়েছে।অভিযোগ পাওয়া গেছে, একাধিক কর্মকর্তার বদলী হলেও ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ বন্ধ হয়নি। বরং ঘুষের রেট ৮০০ থেকে বৃদ্ধি করে ফাইল প্রতি ৯০০ টাকা করা হয়েছে। এ হিসেবে ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে দিনে আনুমানিক এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। ঘুষের টাকা না দিলে চরম ভাবে হয়রানি করা হয় মানুষকে। এ নিয়ে পাসপোর্ট গ্রহিতাদের মাঝে ক্ষোভ এবং অসেন্তাষের অন্ত নেই। পদে পদে হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় ঝিনাইদহের মানুষকে।

ঝিনাইদহ পোসপোর্ট অফিসের ঘুষের টাকা প্রতি সপ্তাহে ভাগাভাগি করা হয়। এর মধ্যে সহকারী পরিচালকের নামে ৬০ শতাংশ ও বাকি ৪০ শতাংশ টাকা সাধারণ স্টাফরা ভাগ করে নিচ্ছেন। অফিস সহকারী আলপিন নাহার এই ঘুষ বাণিজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তার সাথে আছেন সুপারভাইজার ইমরান, গৌতম কুমার সাহা, মাসুদ, হাসান, জয়নাল আবেদীন, কামরুজ্জামান ও সোহাগ। এরা স্টোর রুম ও বাথরুমে ঢুকে ঘুষ নিয়ে থাকেন।

এদের মধ্যে ইমরান, সোহাগ, কামরুজ্জামান ও জয়নালের কোন সরকারী বেতন নেই। একটি প্রজেক্ট এই চারজনের বেতন হতো। প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর ঘুষের টাকায় এদের বেতন দেওয়া হয়।অফিস সহকারী আলপিন নাহার ঘুষ আদায় করে প্রতি সপ্তহে ইমরান, সোহাগ, কামরুজ্জামান ও জয়নালের বেতন প্রদান করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বজলুর রশীদ জানান, আমি নতুন মানুষ। অফিসে কোন ঘুষ নেওয়া হয় কিনা তা আমার জানা নেই। কর্মচারী ইমরান, সোহাগ, কামরুজ্জামান ও জয়নালের কি ভাবে বেতন দেওয়া হয় তিনি বলতে পারেন নি। অফিস সহকারী আলপিন নাহার জানান, রোববার অফিস টাইমে এসে সব কিছু শুনে যাবেন। আমি তো অফিসের প্রধান নই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *