প্রবাসীদের ঈদের আনন্দের অগচরে থেকে যায় বেদনা গাথা
1 min readআব্দুল্লাহ আল মাসুদ
ভাই তোমাকে খুব মিস করছি তোমাকে নিয়েই এই লেখা
যারা প্রবাসে বসে আমাদের জন্য লক্ষ ল্ক্ষ টাকা পাঠায় তাদের সম্পর্কে আমরা কিবা জানি। প্রবাসীদের কাছে ঈদ মানেই ঘুম, ঈদ মানেই বেদনা, ঈদ মানেই প্রিয়জনদের জন্য চোখ ভিজে যাওয়া। ঈদের নতুন জামা তো দূরে থাক, ঈদের সেমাইও হয়তো রান্না হয় না বেশির ভাগ প্রবাসীদের বাসায়। ঘড়ির টিক টিক শব্দে ঘুম ভেঙে সকালে ঈদের নামাজ শেষে বাসায় এলেই প্রিয় জনের কথা ভেবে চোখটা ভিজে ওঠে। সালাম করে মাকে জড়িয়ে ধরতে না পারার কষ্ট মিশে যায় বুকের চিনচিন ব্যথায়! ঈদের সেমাই সামনে এনে তাদের মা বলে না, নে বাবা খেয়ে নে। ছোট ভাইটি, বোনটি আবদার করে না ঈদের সালামির জন্য।
কেউ অভিযোগের সুরে বলে না, ভাইয়া তুই ওকে আমার চাইতে বেশি সালামি দিলি কেন? বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো মন এক সময় ঘুমের কাছে হারমানে। চোখ বেয়ে পড়া জলের দাগ নিয়েই ঈদের শুরুটা হয় ঘুম দিয়ে। ঘুম থেকে উঠে রান্না করার আলসেমীতে কেউবা বাইরে রেস্টুরেন্টে খেয়ে আসে কেউ আগের রান্না করা কিছু খেয়ে নেয়। এরপর মোবাইল হাতে নিয়ে চলে যুদ্ধ বাংলাদেশে ঈদের দিন মা যখন কান্না জড়ানো কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করে, সকালে কি খেয়েছিস বাবা? তখন তাদের মিথ্যে করেও বলতে হয় অনেক কিছু খেয়েছি। কিন্তু, কিছুই খাওয়া হয়নি। মায়ের ঈদের দিনটির কষ্ট আরো না বাড়াতে এতটুকু মিথ্যা না বললেই যে চলে না! এ ভাবেই কেটে জাই প্রবাসিদের ঈদ। আমার বড় ভাই (সোহেল) দেশের বাইরে রয়েছে আর তাকে মনে করেই এ লেখা । তোমাকে অনেক মিস করছি ভাইয়া । ঈদ মোবারক ভালথেকো ভাই আমার ।