বিয়ে পিছোল ফণীর হুঙ্কারে
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: বরের বাড়ি থেকে বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ ফোন পেয়ে মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম হয়েছিল কনের বাবার। কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পরে শেষ পর্যন্ত বর পক্ষের কথাতেই বিয়ে স্থগিত রাখতে রাজি হয়ে যান তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা পেশায় ফুল ব্যবসায়ী গৌতম মণ্ডলের সঙ্গে মহিষাদলের বাসিন্দা অনিতা মাইতির বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল ৩ মে (আজ, শুক্রবার)। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে সতর্কবার্তায় বিয়ে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে দুই পরিবারই। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অনিতার বাবা নিমাই মাইতি বলেন, ‘‘বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ ফোন পেয়ে প্রথমে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। বরের দাদা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিয়ে স্থগিত রাখাই ভালে। মেয়ের বিয়ে পিছিয়ে গেলে মানসিক অবস্থা কী হতে পারে, বুঝতেই পারছেন। কী করব, দুর্যোগের কাছে মানুষ তো নিছকই খেলনা!’’
ছোট মেয়ের অনিতার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই বায়না দিয়েছিলেন নিমাইবাবু। বললেন, ‘‘বুধবার রাতে ফোন করে বিয়ের নতুন দিনক্ষণের কথা জানিয়ে দিয়েছি আত্মীয়দের। অনেক ধারদেনা করে বিয়ে ঠিক করেছিলাম মেয়ের। প্যান্ডেল, জেনারেটর, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সব কিছুর বায়না হয়ে গিয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সকলে কিছুটা ছাড় দিলেও লাখখানেক টাকা দেনা থেকে যাবে।’’
পাত্র গৌতমের দাদা উত্তম মণ্ডল দিঘা-ধর্মতলা বেসরকারি বাসের কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে বসে তিনি বলেন, ‘‘সুপার সাইক্লোনের সতর্কবার্তার জন্য ভাইয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হলাম। আমাদের কিছু অগ্রিম বায়না দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পরবর্তী দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে আষাঢ়ে।’’