মহেশপুরে দুই প্রতারককে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনগণ
1 min read
ঝিনাইদহের মহেশপুরে উত্তম কুমার ঘোষ ও ডাক্তার হুমায়ুন কবির মিলন নামে দু’জনকে প্রতারণার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। বুধবার দুপুরে মহেশপুর উপজেলার শহরের বাসস্টান্ডে স্থানীয়রা তাদের পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
উত্তম কুমার ঘোষ মহেশপুর উপজেলার বজ্রাপুর গ্রামে অণিল কুমার ঘোষের ছেলে ও ডাক্তার হুময়িুন কবির মিলন মহেশপুর শহরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গণপিটুনির সিকার উত্তম কুমার ঘোষ ও ডাক্তার হুমায়ুন কবির মিলন তিয়ানিশি গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছিলেন। তারা স্থনীয় বেকারদের প্রতারণার ফাদে ফেলে সদস্য করে নেয়। বিনিময়ে এসব যুবকদের কাছ থেকে ২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। তিয়ানিশি গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয় ২০ হাজার টাকা জমা দিলেই ৬০ হাজার টাকার মালামাল দেওয়া যা বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারবে। মালামালের মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিসের টেবলেট ও স্বাস্থ্য সম্মত বেডশীটসহ বিভিন্ন রোগের ওষধ। এরমধ্যে তাদের বেডশীটের উপর ঘুমালে সব রকমের রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে চোখ ধাধানো সব কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছু দিনের মধ্যেই স্থানীয় বুঝতে পারে তাদের কোন ওষুধে কোন কাজ হচ্ছে না। পরে তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে তালবাহনা শুরু করে।
তাদের প্রতারণার সিকার যুবক মহেশপুর উপজেলার খালিশপুরের সুভাস কুমার কুন্ডু। সে তিয়ানশি গ্রুপের প্রতারনার শিকার হয়ে আদালতে একটি কোটপিটিশন দায়ের করে। এই পিটিশনের তদন্ত কাজের জন্য গতকাল উত্তম কুমার ঘোষ ও ডাক্তার হুমায়ুন কবির মিলন মহেশপুর থানায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তারা গণপিটুনির সিকার হন। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মহেশপুর থানার এসআই রুহুল আজম জানান, প্রতারকরা এই তিয়ানশির নাম করে দির্ঘদিন ধরে বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এরমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি কোটপিটিশন দায়ের হয়। যে কারনে বুধবার তাদের থানায় ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দুপুরে থানায় আসার পথে স্থানীয় লোকজন ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে আমরা যেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভুর্তি করি।