মুক্তমতঃ সুদূর প্রসারী নীলনক্সার অংশ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশ
1 min readভারত, চীন, রাশিয়ার সুদূর প্রসারী নীলনক্সার অংশ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশ। মিয়ানমার উপলক্ষ মাত্র, আরাকান রাজ্যে এসব দেশের ইকোনোমিক জোন করতে যা যা করার সবই করছে করবে তারা। পাশের দেশে এমন মহাপরিকল্পনায় অন্যান্য দেশ অংশীদার । আর আমরা ঘুনাক্ষরেও টের পেলাম না । আমাদের পররাষ্ট্র নীতি, কূটনীতি এতটা অচল পয়সা হয়ে গেছে ভাবতে অবাক লাগে।
১০লাখ রোহিঙ্গা রীতিমতো বাংলাদেশ কে পঙ্গু অথর্ব রাষ্ট্র বানিয়ে ছাড়বে। মনে করতে পারেন কি পাগলামী কথা-বার্তা, ১৬ কোটি মানুষ খাচ্ছে-দাচ্ছে, কিছুই হচ্ছে না আর মাত্র ১০লাখ এতে কি এমন ক্ষতি হবে, তাই না ? কিন্তু ঘটনা তো এখানে নয়, দেখুন ঐ ১০ লাখ না বাংলাদেশের নাগরিক না আমাদের দেশের মানুষ। তাহলে এদের কর্ম হবে কি ? জীবন-যাপন, ঘর-সংসার হবে কি ? কোথাও তো চাকুরী-বাকরী করতে পারবে না, তাহলে এদের কাজ হবে কি, রুটি-রুজি কি ? আইন-আদালত কি ? না ঘর-না ঘটকা, তাই না ? যদিও বলা হয়েছে প্রয়োজনে আমাদের খাবার ভাগ করে খাবো ওদের সাথে, কিন্তু খাওয়াটাই সব না । লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা, বসতি, মানুষ হয়ে বসবাস বড় কথা । বিদেশী সাহায্য এতো কচুর পাতার পানি অথবা সকালে ঘাসের ডগায় জমানো শিশির, যা রোদ উঠতেই সুখিয়ে যায় ।
তাই যথারীতি পঙ্গু হওয়ার নানা আলামত শুরু হয়ে গেছে। উপায়হীন রোহিঙ্গারা মাদকের স্বর্গরাজ্য বানাবে এ অঞ্চল, তারা ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মানব বিষ্ফোরণ বাদ যাবে কি কিছু ? লাখ লাখ নারী, শিশু, পুরুষের ভীড়ে কক্সবাজার, পার্বত্যঅঞ্চল এর পর্যটন এলাকা হয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ এলাকা । রোগ-শোক, মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় হতে শুরু করেছে।
কেউ সমৃদ্ধ ইকোনোমিক জোনের সিংহাসনে বসে হাঁসবে। আর আমরা এসব বিপর্যয়, ভয়াবহতা, ব্যর্থতা কাধে নিয়ে ঘুরব অনন্তকাল !!! হয়তো জুটবে নোবেল, নাটক, মানবতার দেব-দেবী কিন্তু তাতে কতটা এগোবে সোনার বাংলা? বর্তমানের প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে পররাষ্ট্র, কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে গরীবের ভাবি, অচল পয়সা বা ব্যর্থ রাষ্ট্র তা বুঝতে কারো বিশেষজ্ঞ হতে লাগবে না !
এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন কিছুটা হলেও যখন সরব তখন সে প্রচেষ্টাকেও কবর দিতে ধূর্ত মিয়ানমার দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এটা বড় ধরনের ফাঁদ বলে মনে করি। বাংলাদেশের উচিৎ হবে না এমন কোন ফাঁদে পা দেয়া। যে কোন সমঝোতা, উদ্যোগ, চুক্তিতে আন্তর্জাতিক মহল বা জাতিসংঘ কে সাথে নিয়ে করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার তথা বর্গি তথা বার্মার অতীত চরিত্র এমন কথায় মনে করিয়ে দিচ্ছে। তাই জেনে শুনে বিষপান করা উচিৎ হবে না ।
আব্দুর রহমান মিল্টন,
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি,
ডিবিসি নিউজ।