রোপনের প্রকৃত সময় পার হলেও পানির আভাবে চারা রোপন করতে পারেনি কৃষক :
1 min readবোরো ধান রোপনের প্রকৃত সময় পার শেষ হতে চলেছে। ঝিনাইদহে এরই মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ চারা রোপনের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঝিনাইদহসহ গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অন্তভুক্ত জমির কৃষকরা পানি না পেয়ে বোরো ধান রোপন করতে পারেনি। ফলে ঝিনাইদহসহ জিকে সেচ আওতায় কয়েক লাখ হেক্টর জমির রোপা বোরো ধানের রোপনের শঙ্কা ও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এবছর এখনো বোরো ধান রোপন করতে না পেরে মহাবিপাকে পড়তে যাচ্ছে কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো রোপনের জন্য গত ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে পানি উত্তোলনের পাম্প চালু করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি’র নির্দেশ ছিল। কিন্তু নদী থেকে সেচ পাম্প পর্যন্ত পলি অপসারন, সেচ পাম্প মেরামতের ধীর গতির কারনে সঠিক সময়ে পানি দেয়া সম্ভব হয়নি। ভরা মরসুমেও পানির অভাবে কৃষকরা জমিতে ধান রোপন করতে পারছেনা।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় ৮২’হাজার ১’শ ৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু জিকে সেচ আওতার ঝিনাইদহ সীমান্তবর্তি কয়েক লাখ কৃষকের বোরো রোপনের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার জটারখাল গ্রামের কৃষক জহির হোসেন বলেন, আমরা এখনো পানির অভাবে বোরা ধান রোপন করতে পারেনি। খুব অল্প সংখ্যক কৃষক স্যালোপানি দিয়ে ধানের চারা রোপন করেছেন। ফলে অত্র এলাকায় কয়েক হাজার কৃষক জিকে খালের পানির দিকে তাকিয়ে আছে। তবে কবে নাগাদ পানি আসবে সেটা নিয়েও চরম শংসয় প্রকাশ করছেন তারা। এবছর সময় মত ক্যেনেলে পানি না পেয়ে বোরো ধান রোপন করতে না পেরে মহাবিপাকে পড়তে যাচ্ছে কৃষকরা।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ পান্নি উন্নয়ন কর্মকর্তার নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
তবে জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরশাদ আলী চৌধুরি জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ৩’হাজার ৭’শ ১০ হেক্টও জমিতে বোরো রোপা ধানের আবাদ করবেন কৃষকরা। কিন্তু এবছর একটু সমস্যার কারনে আগাম পানি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, গত সোমবার খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সেচ পাম্প গুলো ইষ্টাট করা হয়েছে। দ্রুতই ক্যানেল গুলোতে পানি চলে আসবে। আর আমাদেও কৃষকরাও বোরো ধান রোপনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ^াস জানান, বোরো রোপা ধানের উৎকৃষ্ট ফলন পেতে জানুয়ারি মাসের মধ্যে রোপন করা জরুরি। তবে জানুয়ারি মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে রেপান শেষ করতে পারলে ভাল হয়। তিনি আরো জানান, দেরিতে চারা রোপনের ফলে বীজতলায় চারা বয়স্ক হয়ে যাই। এই চারা জমিতে রোপন করলে রোগের ঝুকি থাকে। অপরিনত বয়সে ধান ক্ষেতে শীষ দেখা দেয়। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাই, কিন্তু ফলন কমে যাই। অন্যদিকে দেরিতে রোপনের ফলে ফসল মাঠ থেকে আনতে ঝড়, শিলাবৃষ্টির মতো অনাকাঙ্খিত দূর্যোগের সমস্যায় পড়তে হয়।