শীতে বেড়েছে ভাপা পিঠার চাহিদা
1 min readঝিনাইদহের প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। সেই আমেজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভাপা পিঠা। বেচা-বিক্রি বেড়েছে শহরের ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানে। বিক্রি বেশী তাই লাভও বেশী বিক্রেতাদের।
বাঙালি জাতির কাছে শীত সব সময়ই হাজির হয় নানা রকম বৈচিত্র নিয়ে। সেই বৈচিত্রের অন্যতম অনুসঙ্গ ভাপা পিঠা। এসময় পিঠা খাওয়ার উৎসবে মেতে ওঠেন শহর ও গ্রামাঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ।
ঝিনাইদহ জেলা শহরের পায়রা চত্তর, মডার্ন মোড়, কাঞ্চননগর এলাকা সহ অন্তত ১৫ টি স্থানে রাস্তার পাশে ভাপা পিঠার দোকান দিয়ে বসেছে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা।
প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত একাধারে চলে পিঠা বিক্রি। কখনও কখনও সকাল বেলাতেও বিক্রি হয় পিঠা। কর্মব্যস্ত মানুষ গুলো তাই ব্যস্ততার ফাকে এখান থেকেই সেরে নেন পিঠা খাওয়ার কাজ।
পিঠা খেতে আসা মানুষ জানান, শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই অন্যরকম। গরম গরম ভাপা পিঠা দেখলে লোভ সামলানো দায়, তাইতো খেতেই হবে অন্তত একটি ভাপা পিঠা।
তারা আরো জানান, কর্মব্যস্ততার কারনে বাসায় পিঠা তৈরি করে খাওয়া অধিকাংশ সময়ই সম্ভব হয় না।ফলে রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিনে খেতে হয়। তবে পিঠা যারা তৈরি করেন তারা যেন ধুলা বালি থেকে রক্ষা করে স্বাস্থ সম্মতভাবে পিঠা তৈরি করেন।
সাধারনত সিদ্ধ চাউলের গুড়া তৈরি করে সেই গুড়ার সাথে নারিকোল, খেজুর পাটালি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভাপা পিঠা। প্রতিদিন অন্তত ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ পিস পিঠা বিক্রি করেন একজন বিক্রেতা। প্রতিপিস পিঠা বিক্রি করা হয় ৫ টাকা করে, এতে লাভ দেড় টাকা।
পিঠা বিক্রেতারা জানান, এখান বিক্রি বেশী থাকায় লাভের পরিমাণও একটু বেশী। তবে স্বাস্থ সম্মত ভাবেই পিঠা তৈরি করছেন বলে দাবি তাদের।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, রাস্তার পাশে খোলা বাজারে তৈরি পিঠাতে ধুলা-বালি সহ নানা রকম জীবানু লেগে যেতে পারে, যা হতে পারে পেপটিকালচার ডিজিজ, ডায়রিয়া, টাইফয়েড সহ নানা ধরনের কঠিন শারীরিক সমস্যার কারন। তাই পিঠা তৈরি ও তা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।