Fri. Dec 20th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

শৈলকুপায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২’শ থেকে ৩’শ টাকা আদায় করা হচ্ছে প্রশংসাপত্র বাবদ, ক্ষোভের সৃষ্টি

1 min read
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা সেই শিক্ষিকা কে এত হয়রানী কেন?

মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা সেই শিক্ষিকা কে এত হয়রানী কেন?

শৈলকুপায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২’শ থেকে ৩’শ টাকা আদায় করা হচ্ছে প্রশংসাপত্র বাবদ, ক্ষোভের সৃষ্টি
শৈলকুপায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২’শ থেকে ৩’শ টাকা আদায় করা হচ্ছে প্রশংসাপত্র বাবদ, ক্ষোভের সৃষ্টি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা পন্থায় অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রশংসাপত্র নিতে যাওয়া সদ্য এসএসসি পাশ শতশত শিক্ষার্থীর জিম্মি করে ২শ থেকে ৩’শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোতে। টাকা না দিলে প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এসব টাকা বাবদ কোন রশিদ দেয়া পর্যন্ত হচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কোনখাতে ব্যয় করা হচ্ছে এসব টাকা। বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক ও ক্লার্করা এসব টাকা নেয়ার ব্যাপারে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। উপজেলায় ৫৮টির বেশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

শতাব্দির ঐতিহ্যবাহী শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, সেখানকার সদ্য এসএসসি পাশকৃত ৩’শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২’শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে প্রশংসাপত্র আনতে গেলে। পাইলটের ছাত্র মোহাম্মদ ফায়েজ, শান্ত, রাফি সহ কয়েকজন জানান, তাদের কাছ থেকে ২’শ করে টাকা নেয়া হয়েছে প্রশংসাপত্র বাবদ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব টাকা নেয়ার সময় রশিদ দেয়া হচ্ছে অথচ ক্লার্ক জানান, কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত রয়েছে টাকা আদায়ে, তিনি বলেন বিভিন্ন কাগজ ছাপা ও কর্মচারীদের মধ্যে এসব টাকা খরচ করা হয়। তাছাড়া অনেক ছাত্রদের ফ্রি প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছে।

শহরের আরেকটি অন্যতম কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২’শ থেকে ৩’শ করে টাকা আদায় করা হচ্ছে । তাদেরও কোন রিসিভ বা রসিদ দেয়া হচ্ছে না। কি কারণে টাকা নেয়া হচ্ছে তাও জানেন না শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, আগের প্রধান শিক্ষকগুলো এভাবে টাকা নিতেন, তিনি আসার পরে সেধারা চালু রয়েছে । এসব টাকা নেয়ার ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির কোন নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত নেই বলে তিনি জানান। টাকা আদায়ের ব্যাপারে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কমিশনার শফিকুল ইসলাম রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তার কাছে অভিযোগ করেছে অনেক শিক্ষার্থী। এসব ঘটনার পরে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সবাই কে নিষেধ করেছেন, কোনরুপ অর্থ নেয়া যাবে না সদ্যপাশকৃত শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র বাবদ।

এভাবে শৈলকুপা উপজেলার সকল বিদ্যালয়গুলো থেকে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। একজন অভিভাবক জানান, আগে এসএসসি পাশের পর খুশী হয়ে শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় মিষ্টি বা কিছু পয়সা ধরিয়ে দিতেন ক্লার্কদের। তবে এখনকার মতো জিম্মি বা বাধ্যতামূলক ছিল না। এটি বন্ধ হওয়া উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

এসব ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা তো টাকা নিচ্ছি না বা নির্দেশন্ওা নেই । তবে ম্যানেজিং কমিটির সুনিদিষ্ট সিদ্ধান্ত, এজেন্ডা থাকতে হবে, বেসরকারী বিদ্যালয় ক্ষেত্র বিশেষ টাকা নিতে পারে তবে রশিদ দিতে হবে। তাছাড়া কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *