হাজার ছাড়িয়ে ফ্রিল্যান্সিং’এ লাখ টাকা আয় সম্ভব
1 min readবর্তমানে যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং’কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, আর যাদের আয় মাসে হাজারের ঘরে। একটু চেষ্টা করলে সহজেই সেই আয়ের পরিমাণটা তারা লাখের ঘরেও নিয়ে যেতে পারেন, এমনটাই মনে করেন দেশের সফল ফ্রিল্যান্সার জোবায়ের আহম্মেদ আরিফ।
‘যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত’ প্রবাদ বাক্যটি তুলে ধরে জোবায়ের বলেন, এর মূল কথায় তো শিক্ষা বৃদ্ধির সাথে সাথে কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায় সেইসাথে নিজেরও উন্নতি বাড়তে থাকে। আর উন্নতি মানেই তো সচ্ছলতা বৃদ্ধি।
তার মতে ফ্রিল্যান্সিং ভালো, এতে নিজের উন্নতির পাশাপাশি কম-বেশি দেশেরও উন্নয়ন হচ্ছে। বেকার সমস্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং দেশে বৈদেশিক রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু ‘টাইম ইজ মানি’ কথাটি সবারই মনে রাখা উচিত।
কেননা ফ্রিল্যান্সার, পিপল-পার-আওয়ার, আপওয়ার্ক (ইল্যান্স-ওডেস্ক), সোর্সগুরু সহ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ঘণ্টা ঘণ্টা সময় ব্যয় করে যে টাকা আসছে তা সময়ের হিসাবে অনেক কম কিনা্ সেটাও ভেবে দেখতে হবে।
অবশ্য ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের ক্ষেত্র বিবেচনা করলে তা ঠিকই আছে বলে থামতে হয়। যার যতটুকু ক্ষমতা তা দিয়েই তো কাজ করতে হবে সেইসাথে আয়ের পরিমাণটা বাড়ানোর চিন্তাও থাকতে হবে।
স্বল্প আয়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জোবায়ের দিয়েছেন কিছু দিক নির্দেশনা।
যার প্রথমটিই হলো বেশি পরিশ্রম। প্রতিদিনের কাজের মাঝেও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি এবং এর বিপরীতে ভালো মূল্য পাওয়া যায় সে সমস্ত কাজ শিখে নিতে হবে। ইউটিউব ভিডিও, অনলাইন টিউটরিয়াল ব্লগ, ফোরাম, বই থেকে এসব বিষয়ে শিখতে হবে। এছাড়া ভালো মানের ট্রেনিং সেন্টার থেকেও কোর্স করে নেয়া যায়।
তার মতে, যে কাজগুলো ফ্রিল্যান্সাররা ঘণ্টা প্রতি ৪ থেকে ৫ ডলারে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা করে। মাস হিসেবে তা লাখ টাকায় পৌঁছানো খুব কঠিন। কিন্তু চাহিদার বিষয়গুলোতে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ ডলার হিসেবে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টাও যদি করা যায়, লাখ টাকা আয় কঠিন নয়।
উচ্চমূল্যের কাজগুলো তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকলেও এখানে কাজ পাওয়া সহজ। তাই ইচ্ছা, পরিশ্রম আর শিক্ষার্জনের মাধ্যমে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সহজেই সামনে এগোনো সম্ভব।
ওয়েবসাইট ডিজাইনিং বা প্রোগ্রামিং, মোবাইল অ্যাপস, একাউন্টিং বা কনসালটেন্সি, রিসার্চ বা এনালাইসিসের কাজ, ইকমার্স সাইটের কাজ, অনলাইনে শিক্ষা দেয়া, ভিডিও এডিটিং, ই-মেইল মার্কেটিং, বিষয়ভিত্তিক প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরির মতো কাজে উচ্চমূল্যে পাওয়া যায়। তাই এসব বিষয় সিলেক্ট করা উচিত।
আর নতুন যারা এ পেশায় আসার চিন্তা করছেন তাদেরকেও লক্ষ্য স্থির করে নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞানার্জন করে আসায় উচিত। তাহলে মাসে লাখ টাকা আয় স্বপ্ন নয় বাস্তবই হবে।